আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ রবিউল আউ:, ১৪৪৬ হিজরী
আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ রবিউল আউ:, ১৪৪৬ হিজরী

সমন্বিত পদ্ধতিতে অনাগ্রহী ইবি শিক্ষকরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে গত ৪১ বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু মঞ্জুরি কমিশনের গৃহীত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজস্ব স্বকীয়তা কমে যাবে বলে মনে করছেন অধিকাংশ শিক্ষকরা।

শিক্ষকদের মতামতকে উপেক্ষা করে ইউজিসির এমন সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। গত ১ ডিসেম্বর ইউজিসির গৃহীত এমন সিদ্ধান্তে তিনি একমত পোষণ করেছেন বলে জানা গেছে। শিক্ষকদের মতামতকে উপেক্ষা করে এ সিদ্ধান্ত দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতির ব্যাপারে মোট ৩৪টি বিভাগের সভাপতির মতামত নেয় উপাচার্য। এতে ১টি বাদে সব বিভাগের মতামত অনুযায়ী সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু ১ ডিসেম্বর এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ইউজিসির গৃহীত সিদ্ধান্তে সম্মতি দেন উপাচার্য। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

শিক্ষকদের দাবি, ‘সমন্বিত পরীক্ষায় অংশ নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ব্যাহত হবে। কেননা, কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় শিক্ষকদের গৃহীত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গৃহীত হয়েছিল। এ পদ্ধতিতে অংশ নিলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কমে যাবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। যা স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী।

এছাড়াও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদ দেশের একটি স্বতন্ত্র অনুষদ। এ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষাও নেয়া হয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে। সমন্বিত পদ্ধতিতে অংশ নিলে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন নিয়ে তৈরি হবে নানা জটিলতা।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, সাবেক উপাচার্যের সময় সমন্বিত পদ্ধতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবং ঢাবি গেলে আমরাও যাব এমন সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু ঢাবি প্রচলিত পদ্ধতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবার আমাদের ভর্তি পরীক্ষা কমিটিও প্রচলিত পদ্ধতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। কিন্তু কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে উপাচার্যের একক সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরাও আগের মতো স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতে আগ্রহী। কিন্তু আমাদের একটা সিদ্ধান্ত ছিল যে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার বা ইউজিসি যদি সমন্বিত পদ্ধতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে আমরা সে পদ্ধতিতে যাব। তাছাড়া আগামী ২২ ডিসেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’