বুড়িগঙ্গার পানি দূষণে দায়ী কেরানীগঞ্জ এলাকায় ৩০টি ওয়াশিং প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে মামলা করতে পরিবেশ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত রোববার একটি রিট আবেদনের শুনানি চলাকালে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য ফেলা এবং এর পানি ও পরিবেশ দূষণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।দূষণকারী কারখানার বিরুদ্ধে মামলার সুযোগ রয়েছে আইনে। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতর পিছিয়ে থাকে কেন?
প্রশ্ন হচ্ছে, আদালতকে কেন মামলার নির্দেশ দিতে হলো? এটা তো পরিবেশ অধিদফতরের বিধিবদ্ধ কাজ। দূষণকারী কারখানার বিরুদ্ধে মামলার সুযোগ রয়েছে আইনে। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতর পিছিয়ে থাকে কেন? কোথাও দখল-দূষণের ঘটনা ঘটলে তাদেরই তো উদ্যোগী হয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা।দীর্ঘদিন থেকেই ঢাকার প্রায় প্রতিটি শিল্প-কারখানা নদীদূষণ করে আসছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে হবে। দূষণ বন্ধে তাদের বাধ্য করতে হবে। প্রয়োজনে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং বিধি লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।
দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বুড়িগঙ্গাসহ দেশের অন্যান্য নদ-নদীর যে বিশাল ক্ষতি করেছে তার পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। নদীতে কেউ যেন বর্জ্য ফেলতে না পারে এবং কোন ব্যক্তি বা সংস্থা যেন এর পানি ও পরিবেশ দূষিত করতে না পারে সেজন্য তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। নদ-নদী দূষণের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা পরিবেশ অধিদফতরের কার্যকর ভূমিকা দেখতে চাই।